শব্দজাল: রিভিউ

শব্দজাল

শব্দজাল

‘ শব্দজাল ‘ বইটি রবিন জামান খানের লেখা৷ রবিন জামান খানের লেখার সা‌থে আমার প্রথম প‌রিচয় এই বই‌য়ের সূ‌ত্রে। এটি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার উপন্যাস। ১৫৮ পেইজের ছোট একটি ঔপন্যা‌সিকা।

শব্দজাল
শব্দজাল


‘ শব্দজাল ‘ নামটি শুনলেই বোঝা যায় বইটিতে নিশ্চয়ই কোনো শব্দের জাল বোনা হয়েছে।  আসলেই তাই। শব্দের জাল বুনেই প্রফেসর জাকারিয়া অরূপে প্রফেসর জ্যাকের বাক্য বিনিময় ঘ‌টে  ক্রিমিনাল  আব্দুল্লাহ্  আল ফাত্তাহ এর সাথে ।  
৩১ শে ডিসেম্বর রাত,  সেচ্ছায় অবসর নেওয়া প্রফেসর জ্যাক তখন নিজের কাজে মগ্ন। রাজধানী ঢাকা শহর তখন আনন্দে আপ্লুত। পুরো ঢাকা শহর মেতে ওঠছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আনন্দে। কিন্তু সেই সময় ঘটে গেছে বিরাট ঘটনা, আইনের সকল সেক্টরের মানুষ কাজ করে যাচ্ছে… 
হঠাৎ ফোন এলো প্রফেসর জাকারিয়ার কাছে,  তার বন্ধু ফোন দিয়ে জানালো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিমিনাল আব্দুল্লাহ আল ফাত্তাহ্ এর এয়ারপোর্টে ধরা পরার খব‌রের কথা। সাইকোলজির প্রফেসর জাকারিয়াকে তখন যেতে হলো ফাত্তাহ্ এর সাথে কথা বলার জন্য। ফাত্তাহ্ কোথায় বোমা রেখেছে তা জানবার জন্য।  
যে কিনা ধরা পরার পর জানায় সে ঢাকাতে দুটি বোমা সেট করেছে যা নতুন বছরের সূর্য উঠার পরই পুরো ঢাকাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করবে। আবার যে সময় ঢাকা অবস্থান করছে বিশ্বের আরো তিনটি দেশের প্রধান সহ কিছু উচ্চপদস্ত মানুষ।  আর এসব কিছু বাঁচানো, বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচানো, বাংলাদেশের মানসম্মান সব এখন প্রফেসরের হাতে।
আর প্রফেসরের আছো শুধু শব্দজাল।  তাই তিনি সেই শব্দের জাল বাঁধে ফাত্তার সাথে।  জাকারিয়া এবং ফাত্তাহ ইন্টারোগেশন রুমে খুব সুন্দর ভাবে কথা চালিয়ে যান৷ লেখক তাদের কথোপকথন খুব সুন্দর এবং সাবলীল ভাবে চালিয়ে গেছেন।  খুব ধীরে ধীরে উপন্যাসটি চালনা করা হয়েছে, লেখক যে তাড়াহুড়ো করেননি তা বলা বাহুল্য। উপন্যাসটিতে আন্তর্জাতিক বোমারু হিসেবে ফাত্তার চরিত্রটি ছিলো দারুণ খুবই সুন্দর,তার জীবনবৃত্তান্তও ছিলো আকর্ষণীয়। তবে আমার কেন যেনো প্রফেসর জাকারিয়া চরিত্রটি ততটা ভালো লাগেনি।মনে হয়েছে তাকে আরো আকর্ষণীয় করা যেতো, তার চরিত্র যেনো কিছুটা খামতিই রয়ে গেছে ব‌লে আমার মনে হয়েছে।  
তবে প্রফেসরের কিছু ব্যপার ভালো লেগেছে যেমন  সিগার অফারের ব্যপার টা কিংবা কফি । আবার রিড টেকনিক ইউজ করাটা।  
পুরো উপন্যাসে কথোপকথন খুবই সহজ সাবলীল ছিলো,  লেখক লাস্টে যেমনটা বললেন সব যেমন সহজে মিলে গেছে,একদম খাপে খাপ।  কিন্তু লেখকের এ কথা বলার পর বোঝা যায় যে মূল কাহিনি এখনো বাকি,  ফাত্তাহ্ এর সাথে গেইমটা পুরো শেষ হয়নি। তখন অবশ্য একটু মজা পাওয়া যায় এবং খুব সুন্দর ভাবেই উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে।  

শব্দজাল

রিভিউ: আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি

জানি না অন্যদের কাছে বইটি কেমন লেগেছে,তবে আমার কাছে সত্যি বলতে খুব ভালো লাগেনি।  থ্রিলার উপন্যাস মানে বইয়ের পাতা উল্টাবো আর একটা থ্রিল কাজ করবে মনের ম‌ধ্যে, কি হবে তারপর এমন একটা ঝোঁক নিয়ে পাতার পর পাতা উল্টাতে থাকব৷ কিন্তু এ বইটিতে আমার তেমনটা হয়নি,খুবই সাবলীল ছিলো।  তবে লেখকের তাড়াহুড়ো না করাটাও ভালো লেগেছে৷  যাই হোক রবিন জামান খানের এটা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার সিরিজের প্রথম বই।  দ্বিতীয় বইটি নাম হবে ' বিখন্ডিত '। প্রথম সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লেখা হিসেবে খুব ভালো লিখেছেন তিনি।  তবে আশা করব লেখক যেনো তার পরবর্তী বইকে  আরো সুন্দর করে তুলেন। আর আমরা যেহেতু নতুন একজন চরিত্র পেলাম;প্রফেসর জাকারিয়া অরূপে জ্যাক - তাকে যেনো আরো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলেন,সে ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম।

রেটিং : ৩.৯/৫

🖋️shojjiti hossen