দিঘির জলে কার ছায়া গো

রিভিউ : দিঘির জলে কার ছায়া গো

দিঘির জলে কার ছায়া গো
দিঘির জলে কার ছায়া গো

প্রচ্ছদে লেখা নামটা দেখলেই বোঝা যায় ‘দিঘির জলে কার ছায়া গো’ নামের বইটি একটি রোম্যান্টিক বই।কখনো শুনেছেন,নায়ক নায়িকার দেখা হয় নর্দমায়?দেব-কোয়েলের প্রেম কাহিনী সিনেমাটায় মনে হয় দেখা হয় ম্যানহলে।না,না,দেব আর কোয়েলের সেই কাহিনীর সাথে মুহিব আর লীলার কাহিনীর কোনো মিল নেই।বইটির নামে দিঘির কথা থাকলেও কিন্তু দিঘির জলে না,মুহিব আর লীলা নামের দুজন মানুষের পরিচয় নর্দমায়। হ্যাঁ,নর্দমাতেই!তবে প্রচলিত প্রথম দেখায় প্রেমের মতো কিছুই ঘটেনি।
মুহিব একজন রাগী বাবার অনুগত ছেলে।সে নিজেকে অনেকটা হিমুর মতো ভাবে।হিমুর মতো হতে চায় মুহিব।আর লীলা হচ্ছে বাবার অনেক আদরের এক মেয়ে।কিছুটা অদ্ভুত প্রকৃতির সে।লীলা বা মুহিব কেউই বুঝতে পারে না একে অপরের প্রতি অনুভূতি। কথা হয়,দেখা হয়,ভাব বিনিময় হয়- তবে প্রেমিক প্রেমিকা হিসেবে না।
একসময় গল্পে আসে সামাজিক বিভ্রাট।মুহিবের বাবাকে ঘটনাক্রমে যেতে হয় জেলে।এই সময় মুহিব চরিত্রটির কাণ্ডকারখানার সাথে হিমু-র অনেকটা মিল পাওয়া যাবে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে,হিমু তো রুপাকে সবসময় ফেরায়,মুহিবও কি তাহলে লীলাকে স্বীকৃত দেবে না?
আসলে মুহিব হিমু হওয়ার চেষ্টা করে,সে তো আর হিমু নয়!

দিঘির জলে কার ছায়া গো

রিভিউ : উল্কা রহস্য

পাঠ প্রতিক্রিয়া:
বইটা আমার সত্যিই বেশ ভালো লেগেছে।একদিন থেকে যেমন রোম্যান্টিক ছিল,অন্যদিক থেকে বেশ কিছু সামাজিক দিক উঠে এসেছে।লীলা চরিত্রটি সত্যিই অসাধারণ। মুহিব চরিত্রটিও বেশ ভালো লেগেছে।সব মিলিয়ে অসাধারণ!

নষ্টনীড়//রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দিঘির জলে কার ছায়া গো

দিঘির জলে কার ছায়া গো
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
জনরাঃ রোম্যান্টিক
ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৫/৫

দিঘির জলে কার ছায়া গো

লেখক পরিচিতিঃ


বাংলা কথাসাহিত্যে সংলাপ প্রধান নতুন সাহিত্যের জনক হুমায়ূন আহমেদ ( ১৩ই নভেম্বর ১৯৪৮ – ১৯ শে জুলাই ২০১২)। তিনি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার, ছোটগল্পকার হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

দিঘির জলে কার ছায়া গো

রিভিউয়ারঃ সুমাইয়া শেফা

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কে ছিলেন?