এপিটাফ

রিভিউ : এপিটাফ

এপিটাফ
এপিটাফ

!হঠাৎ কোথায় যেন দেখলাম একটা লাইন,” একটি মৃত্যুপথযাত্রী কিশোরী…”
চোখটা আটকে গেল,আর বইয়ের নামটাও দেখে নিলাম।”মৃত্যুপথযাত্রী কিশোরী” শব্দ দুটি আমাকে টানে,খুব করে টানে।দু- তিনদিনে বইটি পড়েছি।
গল্পটা একজন সুন্দর মনের কিশোরীর জীবনের।জীবনের..? আসলেই কি..? নাকি মরণের!
মেনিনজিওমা-র মতো মরণব্যাধির সাথে প্রতিটা সেকেন্ড লড়ে যাচ্ছে নাতাশা।১৩ বছরের জীবনে কী-ই বা তেমন দেখেছে সে পৃথিবীতে! কিন্তু অসম্ভব ভালো মনের মেয়ে নাতাশা।
একদিনে যেমন লেখক নাতাশার কথা নাতাশাকে দিয়ে বলিয়েছে,অপরদিকে গল্পের অন্যান্য চরিত্রদের কথা তিনি নিজে বলেছেন।একজন মেয়ের কাছে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সম্ভ্রম। কিন্তু একজন মায়ের কাছে?সন্তান বোধয় সবকিছুর আগে।
এভাবেই নাতাশা,তার মা-বাবার সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাড়ির কাজের বুয়ার মনোভাব সবকিছুই লেখক খুব সুক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন।

এপিটাফ

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
রিডার্স ব্লকের সময় পড়ার জন্যে অনেক ভালো ছিল বইটি।চরিত্রগুলোর কাজকর্মের বর্ণনা সুক্ষ্ম ভাবে ফুটে উঠেছে।তবে হুমায়ূন এর প্রায় প্রতিটি বইয়ের মতোই এই বইয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা!

চরিত্রঃ

১।নাতাশা(টিয়া পাখি)
২।সাজ্জাদ
৩।দিলশাদ
৪।দিলরুবা
এছাড়াও কাজের বুয়া,নাতাশার মেজখালা,মেজখালু,বড়খালু,নানাজান,নানিজান,পাপিয়া সহ আরো অনেকে।

লেখক পরিচিতিঃ


বাংলা কথাসাহিত্যে সংলাপ প্রধান নতুন সাহিত্যের জনক হুমায়ূন আহমেদ( ১৩ই নভেম্বর ১৯৪৮ – ১৯ শে জুলাই ২০১২)। তিনি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার, ছোটগল্পকার হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

হুমায়ূন আহমেদ

দিঘির জলে কার ছায়া গো

  • বইঃ এপিটাফ
  • ✒️হুমায়ূন আহমেদ
  • রেটিংঃ 🌟🌟🌟🌟🌟
  • রিভিউয়ারঃ সুমাইয়া শেফা

ধুমকেতুর শেষ পরিণতি কী হয়?