সাহিত্যজগতে বাঙালি বৈজ্ঞানিক ও আবিষ্কারক প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর আবির্ভাব হয় ১৯৬১ সালে। সত্যজিৎ রায় (২ মে ১৯২১- ২৩ এপ্রিল ১৯৯২) এর শঙ্কু সমগ্র প্রথম শঙ্কুকাহিনী “ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি” প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৬৮ বঙ্গাব্দে সন্দেশ পত্রিকার আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ সংখ্যায়।
বাংলা সাহিত্যে শঙ্কুর আবির্ভাব ফেলুদারও আগে। ১৯৬১-১৯৯২ পর্যন্ত সত্যজিৎ রায় শঙ্কুকে নিয়ে লিখেছেন একের পর এক লোমহর্ষক কাহিনী। প্রোফেসর শঙ্কুর সবকয়টি কাহিনীই লেখা ডায়েরী আকারে। ত্রিশ বছরে ধারাবাহিকভাবে শঙ্কুর আটত্রিশটি সম্পূর্ণ এবং দুইটি অসম্পূর্ণ ডায়রী প্রকাশিত হয়েছিল।এই সব কয়টি কাহিনী একত্রে প্রকাশিত হয় শঙ্কু সমগ্র।
কিন্তু কে এই শঙ্কু?
প্রোফেসর শঙ্কু একজন খাঁটি বাঙালি বৈজ্ঞানিক। মানুষটা কিছুটা আত্মভোলা গোছের হলেও ভয়ঙ্কর সব অ্যাডভেঞ্চারে তাকে কখনো ভয়ে পিছুপা হতে দেখা যায় না।
প্রোফেসর শঙ্কুর গবেষণাক্ষেত্র বিহারের গিরিডিতে। শঙ্কু তার বিচিত্র উদ্ভাবনী ক্ষমতার দ্বারা জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানমহলে। শঙ্কুর জগতে প্রাকৃত ও অতিপ্রাকৃতের দারুণ সহাবস্থান। গবেষণার খাতিরে তিনি বিশ্বভ্রমণ করেছেন। তিনি আবার ‘সুইডিস অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স’ কর্তৃক সম্মানিত।
শঙ্কুর কাহিনীগুলোকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বা সায়েন্স ফিকশনে ফেললেও কাহিনীগুলোতে রয়েছে রহস্য এবং অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ। রয়েছে ফ্যান্টাসি এবং রোমাঞ্চের দারুণ মিশ্রণ। যার ফলে শুরু থেকেই ছোট থেকে বড় সব বয়েসি পাঠকের মন জয় করেছে শঙ্কু।
শঙ্কুর প্রতিটি ডায়েরী একত্রে গ্রন্থায়িত করা হয়েছে ‘শঙ্কু সমগ্র’ বইটিতে।
শঙ্কু সমগ্রে থাকা শঙ্কুর কাহিনীগুলো-
- শঙ্কু সমগ্র
SHANKU SAMAGRA
[Science Fiction]
by Satyajit Ray
Published by Ananda Publishers Private Limited
45,Beniatola Lane, Calcutta-700009