মেঘনাদবধ কাব্য- রিভিউ

মেঘনাদবধ কাব্য

মেঘনাদবধ কাব্য

মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যতম লেখা “মেঘনাদবধ কাব্য” কে ৯টি সর্গে ভাগ করা হয়েছে।

মেঘনাদবধ কাব্য
মেঘনাদবধ কাব্য

৯টি সর্গ হলোঃ “অভিষেক”, “অস্ত্রলাভ”, “সমাগম”, “অশোকবন”, “উদ্যোগ”, “বধো”, “শক্তিনির্ভেদ”, “প্রেতপুরী”, “সংক্রিয়া”। পুরো গল্পটি পৌরাণিক চরিত্রের অমিত্রাক্ষর ছন্দের আকারে লেখা হয়েছে। রাক্ষস রাজা রাবণের সীতা হরণের পর মহারাজ দশরথের পুত্র, রামচন্দ্র সীতাকে উদ্ধার করার জন্য যুদ্ধে রওয়ানা হলেন। প্রথম যুদ্ধে রাবণের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীরবাহু রামের হাতে নিহত হয়। এই অবস্থায় রাবণ যুদ্ধে অংশ নিতে চাইলে তার কনিষ্ঠ পুত্র, মেঘনাদ এসে যুদ্ধের দায়িত্ব নিতে চায়। রাবণ তার ইষ্টদেবের পূজা ও নিকুম্ভিলা যজ্ঞ সমাপ্ত করে শাস্ত্রবিধি অনুসারে মেঘনাদকে সেনাপতিপদে অভিষেক করলেন। কিন্তু রাবণের পরিবারের সদস্যদের অনেকেই চাইত না, মেঘনাদ এই যুদ্ধে জয় লাভ করুক। তাই রাবণের পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্গা, ইন্দ্র, শচি, কামদেব ও রতি রামের জয়লাভের জন্য যোগাসনে বসলেন। অপরদিকে রাবণের কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিভীষণ, মেঘনাদের যুদ্ধে আসার কথা রামের কাছে পৌঁছিয়ে দিলেন। রামের আদেশে লক্ষ্মণ মেঘনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধস্থানে পৌঁছাল। মেঘনাদ যখন নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে যুদ্ধ জয়ের প্রার্থনা করছিলো, তখন লক্ষ্মণ মেঘনাদকে কোনোরকম যুদ্ধের প্রস্তুতি ছাড়াই আক্রমণ করে। মেঘনাদ তার মৃত্যুকালে দ্বারের সামনে তার চাচা বিভীষণকে দেখে বুঝে যায়, তার মৃত্যুর পেছনে বিভীষণের হাত ছিলো। অতঃপর সবাই জানতে পারে শুধু বিভীষণই নয়, মেঘনাদের মৃত্যুর পেছনে পরিবারের অনেকেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো। মধুসূদনের এই কাব্যটিতে নবজাগরণের প্রেরণাতে রাম-লক্ষ্মণ হীনরুপে এবং রাবণ এবং মেঘনাদের মানবীয় গুনাবলি উপস্থাপিত। কাব্যটিতে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং স্বজাতি, মানবতাবোধ, ভ্রাতৃত্ব যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি এর সাথে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে বর্বরতা এবং নীচতা এবং পরিবারের একাংশের বিশ্বাসঘাতকতা।

“মেঘনাদবধ কাব্য” বইটির ধরণ মহাকাব্য এবং পুরাণের চরিত্র অনুসারে রচিত হলেও কাব্যটি প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে এক গভীর অনুভূতি সৃষ্টি করে।

রিভিউ :মৈমনসিংহ গীতিকা

বই পরিচিতি

🔹লেখকের নামঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত 

🔹লেখকের নামঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত 

🔹প্রকাশিত তারিখঃ ১৮৬১ সাল

🔹ধরণঃ মহাকাব্য

🔹পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১০৭

মেঘনাদবধ কাব্য

আরো জানতে আমাদের কন্ঠনীড়ে সাইটে থাকুন