কৃষ্ণকুমারী ( রিভিউ )

কৃষ্ণকুমারী

কৃষ্ণকুমারী

কৃষ্ণকুমারী

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন বিশাল প্রতিভা নিয়ে।তার সাহিত্য সাধনার সাফল্য বাংলাসাহিত্যের দ্রুত অগ্রগতি সাধন করেছে।এমন একজন লেখকের যেকোনো রচনাই অধীর আগ্রহ নিয়ে পড়ব এটাই স্বাভাবিক। রোজাবেল মা তোকে বলছি
কৃষ্ণকুমারী নাটকটিও তার ব্যতিক্রম নয়!

উদয়পুরের রাজা ভীমসিংহের কন্যা রাজকুমারি কৃষ্ণকুমারী-র করুণ জীবননাট্যের কাহিনী এই নাটকটি।শুরু হয় লোভী ধনদাসের ষড়যন্ত্র দিয়ে।জয়পুরের রাজাকে ভুল বুঝিয়ে বুদ করে রাখে সে।এরপর শুরু হয় বিলাশবতী এবং মদনিকার ষড়যন্ত্র। তারা রাজকুমারি কৃষ্ণার কিশোরী মনকে ভুল বুঝিয়ে রাজা মানসিংহ এর প্রেমের ফাঁদে ফেলে।এরপর শুরু হয় কৃষ্ণাকে বিয়ে করা নিয়ে দুই রাজার লড়াই।সে সময় দুই রাজার লড়াই মানেই কয়েক রাজ্যের পক্ষপাতীত্বের ফলে কয়েকটি ভাগ হয়ে যাওয়া।এমতাবস্থায় মুশকিলে পড়েন রাজা ভীমসিংহ।কীভাবে পরিত্রাণ পাবেন তিনি এই বিপদ থেকে!?কৃষ্ণার মৃত্যু ব্যতিত এই সমস্যার সমাধান নেই।কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব?রাজকুমারির কী দশা হয় শেষ পর্যন্ত..! বাংলাসাহিত্যের কালজয়ী উপন্যাস তুলে ধরা হলো — পর্ব ১

কৃষ্ণকুমারী

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ

কৃষ্ণকুমারী


কৃষ্ণকুমারী – বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক হিসেবে স্বীকৃত।এছাড়াও ইতিহাস নিয়ে রচিত প্রথম নাটকও কৃষ্ণকুমারী। এমন একটি বই না পড়লে সাহিত্যের কতকিছু অজানা থেকে যেতে পারে,ভেবেই বইটা পড়া।এক কথায় বললে,সেকালের সমাজব্যবস্থার সাথে নাটকের কাহিনীর কোনো অসংলগ্নতা ছিল না।এর গতি,চরিত্রের আবেগ সবকিছুই নাট্যোপযোগী ছিল।
অত্যন্ত করুণ এক পিতাভক্ত কণ্যার কাহিনী।যে নিজের রাজ্যের জন্য প্রাণ দিতেও ভয় পায় না।

কৃষ্ণকুমারী

বইঃ কৃষ্ণকুমারী
লেখকঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
জনরাঃ নাটক

রিভিউয়ারঃ সুমাইয়া শেফা

নষ্টনীড়//রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ttothobari.com